6. তখন শিষ্যেরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের সুখবর প্রচার করতে এবং রোগ ভাল করতে লাগলেন।
7. যীশু যা করছিলেন সেই সব কথা শুনে শাসনকর্তা হেরোদ কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না। এর কারণ হল, কেউ কেউ বলছিল বাপ্তিস্মদাতা যোহন মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন;
8. কেউ কেউ বলছিল এলিয় দেখা দিয়েছেন; আবার কেউ কেউ বলছিল অনেক দিন আগেকার একজন নবী বেঁচে উঠেছেন।
9. হেরোদ বললেন, “আমি তো যোহনের মাথা কেটে ফেলেছি। তবে যার বিষয়ে আমি এই সব শুনছি, সে কে?” হেরোদ যীশুকে দেখবার চেষ্টা করতে লাগলেন।
10. যীশু যে শিষ্যদের পাঠিয়েছিলেন তাঁরা ফিরে আসলেন এবং কি কি করেছেন সব কিছু তাঁরা যীশুকে বললেন। তখন যীশু তাঁদের নিয়ে বৈৎসৈদা গ্রামের কাছে একটা নির্জন জায়গায় গেলেন।
11. সেই খবর জানতে পেরে অনেক লোক যীশুর পিছনে পিছনে চলল। তিনি সেই লোকদের গ্রহণ করলেন এবং তাদের কাছে ঈশ্বরের রাজ্যের কথা বললেন। এছাড়া যাদের সুস্থ হবার দরকার ছিল তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
12. যখন বেলা শেষ হয়ে আসল তখন সেই বারোজন শিষ্য এসে যীশুকে বললেন, “আমরা যেখানে আছি সেটা একটা নির্জন জায়গা। তাই এই লোকদের বিদায় দিন যেন তারা কাছের পাড়ায় এবং গ্রামগুলোতে গিয়ে খাবার এবং থাকবার জায়গা খুঁজে নিতে পারে।”
13. যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরাই ওদের খেতে দাও।”তাঁরা বললেন, “কিন্তু আমাদের কাছে কেবল পাঁচটা রুটি আর দু’টা মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। কেবল যদি আমরা গিয়ে এই সব লোকদের জন্য খাবার কিনে আনতে পারতাম তবেই তাদের খাওয়ানো যেত।”
14. সেখানে কমবেশি পাঁচ হাজার পুরুষ লোক ছিল।যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “পঞ্চাশজন পঞ্চাশজন করে এক এক দলে লোকদের বসিয়ে দাও।”
15. শিষ্যেরা সেই ভাবেই সব লোকদের বসিয়ে দিলেন।
16. তখন যীশু সেই পাঁচটা রুটি আর দু’টা মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকালেন এবং সেগুলোর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেবার পর টুকরা টুকরা করলেন। তারপর তিনি লোকদের দেবার জন্য সেগুলো শিষ্যদের হাতে দিলেন।
17. লোকেরা সবাই পেট ভরে খেল। পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল তা বারোটা টুকরিতে তুলে নেওয়া হল।
18. একবার যীশু একটা নির্জন জায়গায় প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর সংগে কেবল তাঁর শিষ্যেরাই ছিলেন। তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে?”
19. শিষ্যেরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন; কেউ কেউ বলে এলিয়; আবার কেউ কেউ বলে অনেক দিন আগেকার একজন নবী বেঁচে উঠেছেন।”