5. হেরোদ যখন যিহূদিয়া প্রদেশের রাজা ছিলেন সেই সময়ে পুরোহিত অবিয়ের দলে সখরিয় নামে যিহূদীদের একজন পুরোহিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল ইলীশাবেত। তিনিও ছিলেন পুরোহিত হারোণের একজন বংশধর।
6. তাঁরা দু’জনেই ঈশ্বরের চোখে ধার্মিক ছিলেন। প্রভুর সমস্ত আদেশ ও নিয়ম তাঁরা নিখুঁতভাবে পালন করতেন।
7. তাঁদের কোন ছেলেমেয়ে হয় নি কারণ ইলীশাবেত বন্ধ্যা ছিলেন। এছাড়া তাঁদের বয়সও খুব বেশী হয়ে গিয়েছিল।
8. একবার নিজের দলের পালার সময় সখরিয় পুরোহিত হিসাবে ঈশ্বরের সেবা করছিলেন।
9. পুরোহিতের কাজের চলতি নিয়ম অনুসারে গুলিবাঁট দ্বারা তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেন তিনি প্রভুর উপাসনা-ঘরের পবিত্র স্থানে গিয়ে ধূপ জ্বালাতে পারেন।
41-42. ইলীশাবেত যখন মরিয়মের কথা শুনলেন তখন তাঁর গর্ভের শিশুটি নেচে উঠল। তিনি পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হয়ে জোরে জোরে বললেন, “সমস্ত স্ত্রীলোকদের মধ্যে তুমি ধন্যা এবং তোমার যে সন্তান হবে সেই সন্তানও ধন্য।
43. আমার প্রভুর মা আমার কাছে এসেছেন, এ কেমন করে সম্ভব হল?
44. যখনই আমি তোমার কথা শুনলাম তখনই আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠল।
45. তুমি ধন্যা, কারণ তুমি বিশ্বাস করেছ যে, প্রভু তোমাকে যা বলেছেন তা পূর্ণ হবে।”
46. তখন মরিয়ম বললেন,“আমার হৃদয় প্রভুর প্রশংসা করছে;
47. আমার উদ্ধারকর্তা ঈশ্বরকে নিয়েআমার অন্তর আনন্দে ভরে উঠছে,
48. কারণ তাঁর এই সামান্যা দাসীর দিকেতিনি মনোযোগ দিয়েছেন।এখন থেকে সব লোক আমাকে ধন্যা বলবে,
49. কারণ শক্তিমান ঈশ্বর আমার জন্যকত না মহৎ কাজ করেছেন।তিনি পবিত্র।