59. কফরনাহূমের সমাজ-ঘরে শিক্ষা দেবার সময় যীশু এই কথা বলেছিলেন।
60. তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বলল, “এ বড় কঠিন শিক্ষা। কে এটা গ্রহণ করতে পারে?”
61. যীশু নিজের মনে বুঝতে পারলেন যে, তাঁর শিষ্যেরা এই বিষয় নিয়ে বকবক করছে। সেইজন্য তিনি তাঁদের বললেন, “এতে কি তোমরা মনে বাধা পাচ্ছ?
62. তবে মনুষ্যপুত্র আগে যেখানে ছিলেন তাঁকে সেখানে উঠে যেতে দেখলে তোমরা কি বলবে?
63. মানুষের দেহ কোন কাজের নয়; পবিত্র আত্মাই জীবন দেন। আমি তোমাদের যে কথাগুলো বলেছি তা আত্মিক জীবন দান করে,
64. কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কেউ আছে যারা আমাকে বিশ্বাস করে না।”কে কে যীশুকে বিশ্বাস করে না আর কে-ই বা তাঁকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেবে, যীশু প্রথম থেকেই তা জানতেন।
65. সেইজন্য তিনি বললেন, “তাই আমি তোমাদের বলেছি যে, পিতা শক্তি না দিলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না।”
66. যীশুর এই কথার জন্য শিষ্যদের মধ্যে অনেকে ফিরে গেল এবং তাঁর সংগে চলাফেরা বন্ধ করে দিল।
67. এইজন্য যীশু সেই বারোজন শিষ্যকে বললেন, “তোমরাও কি চলে যেতে চাও?”
68. শিমোন-পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? অনন্ত জীবনের বাণী তো আপনারই কাছে আছে।
69. আমরা বিশ্বাস করেছি আর জানতেও পেরেছি যে, আপনিই ঈশ্বরের সেই পবিত্রজন।”
70. তখন যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের বারোজনকে কি বেছে নিই নি? অথচ তোমাদেরই মধ্যে একজন শত্রু আছে।”