14. যোহন জেলখানায় বন্দী হবার পরে যীশু গালীল প্রদেশে গেলেন। সেখানে তিনি এই কথা বলে ঈশ্বরের দেওয়া সুখবর প্রচার করতে লাগলেন,
15. “সময় হয়েছে, ঈশ্বরের রাজ্য কাছে এসে গেছে। আপনারা পাপ থেকে মন ফিরান এবং এই সুখবরে বিশ্বাস করুন।”
16. একদিন যীশু গালীল সাগরের পার দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি শিমোন ও তাঁর ভাই আন্দ্রিয়কে সাগরে জাল ফেলতে দেখলেন। সেই দু’জন ছিলেন জেলে।
17. যীশু তাঁদের বললেন, “আমার সংগে চল। আমি তোমাদের মানুষ-ধরা জেলে করব।”
18. তখনই তাঁরা জাল ফেলে রেখে যীশুর সংগে গেলেন।
19. সেখান থেকে কিছু দূরে গেলে পর তিনি সিবদিয়ের দুই ছেলে যাকোব ও যোহনকে দেখতে পেলেন। তাঁরা তাঁদের নৌকায় বসে জাল ঠিক করছিলেন।
20. যীশু তাঁদের দেখামাত্র ডাক দিলেন, আর তাঁরা তাঁদের বাবা সিবদিয়কে মজুরদের সংগে নৌকায় রেখে যীশুর সংগে গেলেন।
21. যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কফরনাহূম শহরে গেলেন। পরে বিশ্রামবারে যীশু সমাজ-ঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
22. লোকেরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য হয়ে গেল, কারণ তিনি ধর্ম-শিক্ষকদের মত শিক্ষা দিচ্ছিলেন না বরং যাঁর অধিকার আছে সেই রকম লোকের মতই শিক্ষা দিচ্ছিলেন।
23. সেই সময় মন্দ আত্মায় পাওয়া একজন লোক সেই সমাজ-ঘরের মধ্যে ছিল।
24. সে চিৎকার করে বলল, “ওহে নাসরতের যীশু, আমাদের সংগে আপনার কি দরকার? আপনি কি আমাদের সর্বনাশ করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে; আপনিই তো ঈশ্বরের সেই পবিত্রজন।”
25. যীশু তখন সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ কর, ওর মধ্য থেকে বের হয়ে যাও।”