5. তখন তিনি তাঁর দাসদের বললেন, “তোমরা গাধাটা নিয়ে এখানেই থাক; আমার ছেলে আর আমি ওখানে যাব। ওখানে আমাদের উপাসনা শেষ করে আবার আমরা তোমাদের কাছে ফিরে আসব।”
6. এই বলে অব্রাহাম পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য কাঠের বোঝাটা তাঁর ছেলে ইস্হাকের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে নিজে আগুনের পাত্র ও ছোরা নিলেন। তারপর তাঁরা দু’জনে একসংগে হাঁটতে লাগলেন।
7. তখন ইস্হাক তাঁর বাবা অব্রাহামকে ডাকলেন, “বাবা।”অব্রাহাম বললেন, “কেন বাবা, কি বলছ?”ইস্হাক বললেন, “পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য কাঠ আর আগুন রয়েছে দেখছি, কিন্তু ভেড়ার বাচ্চা কোথায়?”
8. অব্রাহাম বললেন, “বাবা, পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য ঈশ্বর নিজেই ভেড়ার বাচ্চা যুগিয়ে দেবেন।” এই সব কথা বলতে বলতে তাঁরা এগিয়ে গেলেন।
9. যে জায়গার কথা ঈশ্বর অব্রাহামকে বলে দিয়েছিলেন তাঁরা সেখানে গিয়ে পৌঁছালেন। সেখানে পৌঁছে অব্রাহাম একটা বেদী তৈরী করে তার উপর কাঠ সাজালেন। পরে ইস্হাকের হাত-পা বেঁধে তাঁকে সেই বেদীর কাঠের উপর রাখলেন।
10. তারপর অব্রাহাম ছেলেটিকে মেরে ফেলবার জন্য ছোরা হাতে নিলেন।
11. এমন সময় সদাপ্রভুর দূত স্বর্গ থেকে তাঁকে ডাকলেন, “অব্রাহাম, অব্রাহাম!”অব্রাহাম উত্তর দিলেন, “এই যে আমি।”
12. দূত বললেন, “ছেলেটিকে মেরে ফেলবার জন্য হাত তুলো না বা তার প্রতি আর কিছুই কোরো না। তুমি যে ঈশ্বরভক্ত তা এখন বুঝা গেল, কারণ আমার উদ্দেশে তুমি তোমার ছেলেকে, অদ্বিতীয় ছেলেকেও উৎসর্গ করতে পিছ্পা হও নি।”
13. অব্রাহাম তখন চারদিকে তাকালেন এবং দেখলেন তাঁর পিছনে একটা ভেড়া রয়েছে আর তার শিং ঝোপে আট্কে আছে। তখন অব্রাহাম গিয়ে ভেড়াটা নিলেন এবং ছেলের বদলে সেই ভেড়াটাই তিনি পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করলেন।