9. আর তিনি আমাকে বলেছেন, আমার রহমত তোমার পক্ষে যথেষ্ট; কেননা আমার শক্তি দুর্বলতায় সিদ্ধি পায়। অতএব আমি বরং অতিশয় আনন্দের সঙ্গে নানা দুর্বলতায় গর্ব করবো, যেন মসীহের শক্তি আমার উপরে অবস্থিতি করে।
10. তাই মসীহের জন্য নানা দুর্বলতা, অপমান, অনটন, তাড়না, সঙ্কট ঘটলে আমি প্রীত হই, কেননা যখন আমি দুর্বল তখনই বলবান।
11. আমি নির্বোধ হলাম! তোমরাই তা হতে বাধ্য করেছ; কারণ আমার প্রশংসা করা তোমাদেরই উচিত ছিল; কেননা যদিও আমি কিছুই নই, তবু সেই মহা প্রেরিতদের থেকে কিছুতেই ছোট নই।
12. প্রেরিতের চিহ্ন সকল তোমাদের মধ্যে সমপূর্ণ ধৈর্য সহকারে, নানা চিহ্ন-কার্য, অদ্ভুত লক্ষণ ও কুদরতি-কাজ দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে।
13. বল দেখি, অন্যান্য মণ্ডলী অপেক্ষা তোমরা কোন দিক দিয়ে ছোট? একটা বিষয়ে কেবল এই যে, আমি নিজে তোমাদের গলগ্রহ হই নি; আমার এই অন্যায়টি মাফ কর।
14. দেখ, এই তৃতীয়বার আমি তোমাদের কাছে যেতে প্রস্তুত আছি; আর আমি তোমাদের গলগ্রহ হব না; কেননা আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন কিছুর পাবার চেষ্টা করি নি কিন্তু তোমাদেরই পাবার চেষ্টা করছি; কারণ পিতামাতার জন্য ধন সঞ্চয় করা সন্তানদের কর্তব্য নয়, বরং সন্তানদের জন্য সঞ্চয় করা পিতামাতার কর্তব্য।
15. আর আমি অতিশয় আনন্দের সঙ্গেই তোমাদের প্রাণের জন্য ব্যয় করবো এবং নিজেকেও দিয়ে দেব। আমি যখন তোমাদেরকে অধিক মহব্বত করি তখন কি তোমরা আমাকে অল্প মহব্বত লাভ করবে?
16. যা হোক, আমি তোমাদেরকে ভারগ্রস্ত করি নি, কিন্তু ধূর্ত হওয়াতে ছলনায় নাকি তোমাদেরকে ভুলিয়েছি!
17. আমি তোমাদের কাছে যাঁদের পাঠিয়েছিলাম তাঁদের কারো দ্বারা কি তোমাদের ঠকিয়েছি?
18. আমি তীতকে অনুরোধ করেছিলাম এবং তাঁর সঙ্গে সেই ভাইকে পাঠিয়েছিলাম; তীত কি তোমাদের ঠকিয়েছেন? আমরা কি একই রূহে ও একই পদচিহ্নে চলি নি?
19. এই পর্যন্ত তোমরা কি মনে করছো যে, আমরা তোমাদেরই কাছে দোষ কাটাবার কথা বলছি? আমরা আল্লাহ্রই সাক্ষাতে মসীহে কথা বলছি; আর প্রিয়তমেরা, সমস্ত কথাই তোমাদের গেঁথে তুলবার জন্য বলছি।