28. তাতে বনি-ইসরাইলদের থেকে তা হারুন ও তার সন্তানদের চিরস্থায়ী অধিকার হবে, কেননা তা-ই উত্তোলনীয় উপহার। বনি-ইসরাইলদের এই উত্তোলনীয় উপহার তাদের মঙ্গল-কোরবানী থেকে দেয়; এটি মাবুদের উদ্দেশে তাদের উত্তোলনীয় উপহার।
29. আর হারুনের পরে তার পবিত্র পোশাকগুলো তার পুত্রদের হবে; অভিষেক ও পবিত্রকরণের সময়ে তারা তা পরবে।
30. তার পুত্রদের মধ্যে যে তার পদে ইমাম হয়ে পবিত্র স্থানে পরিচর্যা করতে জমায়েত-তাঁবুতে প্রবেশ করবে, সে সেই পোশাক সাত দিন পরবে।
31. পরে তুমি সেই অভিষেকের ভেড়ার গোশ্ত নিয়ে কোন পবিত্র স্থানে পাক-পবিত্র করবে,
32. এবং হারুন ও তার পুত্ররা জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে সেই ভেড়ার গোশ্ত ও ডালিতে রাখা সেই রুটি ভোজন করবে।
33. আর অভিষেক দ্বারা তাদেরকে পবিত্র করার জন্য যা দিয়ে কাফ্ফারা করা হল, তা তারা ভোজন করবে; কিন্তু অপর কোন লোক তা ভোজন করবে না, কারণ সেসব পবিত্র বস্তু।
34. আর ঐ অভিষেকের গোশ্ত ও রুটি থেকে যদি সকাল পর্যন্ত কিছু অবশিষ্ট থাকে তবে সেই অবশিষ্ট অংশ আগুনে পুড়িয়ে দেবে। কেউ তা ভোজন করবে না, কারণ তা পবিত্র বস্তু।
35. আমি তোমাকে এই যে সমস্ত হুকুম করলাম, সেই অনুসারে হারুনের প্রতি ও তার পুত্রদের প্রতি করবে; সাত দিন তাদের অভিষেক করবে।
36. তুমি কাফ্ফারার জন্য প্রতিদিন গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে এক একটি ষাঁড় কোরবানী করবে; কাফ্ফারা করে কোরবানগাহ্কে পবিত্র করবে, আর তা তেল ঢেলে অভিষেক করবে।
37. তুমি কোরবানগাহ্র জন্য সাত দিন কাফ্ফারা দিয়ে তা পবিত্র করবে; তাতে কোরবানগাহ্ অতি পবিত্র হবে; কেউ যদি কোরবানগাহ্ সপর্শ করে, তাকে পবিত্র হতে হবে।
38. সেই কোরবানগাহ্র উপরে তুমি এ সমস্ত কোরবানী করবে; নিয়মিতভাবে প্রতি-দিন এক বছর বয়সের দু’টি ভেড়ার বাচ্চা;
39. একটি ভেড়ার বাচ্চা খুব ভোরে ও অন্যটি সন্ধ্যাবেলা কোরবানী করবে।
40. আর প্রথম ভেড়ার বাচ্চার সঙ্গে এক হিনের চার ভাগের একভাগ ছেঁচা জলপাইয়ের তেল (ঐফা) পাত্রের দশ ভাগের এক ভাগ ময়দার সংগে মিশিয়ে এবং পেয় উৎসর্গের জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ আঙ্গুর-রস উৎসর্গ করবে।