11. তিনি তাঁদেরকে বললেন, যে কেউ আপন স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্য স্ত্রীকে বিয়ে করে, সে তার বিরুদ্ধে জেনা করে;
12. আর স্ত্রী যদি আপন স্বামীকে পরিত্যাগ করে আর এক জনকে বিয়ে করে, তবে সেও জেনা করে।
13. পরে লোকেরা কতগুলো শিশুকে তাঁর কাছে আনলো, যেন তিনি তাদেরকে স্পর্শ করেন; তাতে সাহাবীরা তাদেরকে ভর্ৎসনা করলেন।
14. কিন্তু ঈসা তা দেখে অসন্তুষ্ট হলেন, আর তাঁদেরকে বললেন, শিশুদেরকে আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না; কেননা আল্লাহ্র রাজ্য এদের মত লোকদেরই।
15. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে ব্যক্তি শিশুর মত হয়ে আল্লাহ্র রাজ্য গ্রহণ না করে, সে কোন মতে তাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
16. পরে তিনি তাদেরকে কোলে নিলেন ও তাদের উপরে হাত রেখে দোয়া করলেন।
17. পরে তিনি বের হয়ে পথে যাচ্ছেন, এমন সময়ে এক জন দৌড়ে এসে তাঁর সম্মুখে হাঁটু পেতে জিজ্ঞাসা করলো, হে সৎ ওস্তাদ, অনন্ত জীবনের অধিকারী হবার জন্য আমি কি করবো?
18. ঈসা তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো? এক জন ছাড়া সৎ আর কেউ নেই, তিনি আল্লাহ্।
19. তুমি হুকুমগুলো জানো, “নরহত্যা করো না, জেনা করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না, প্রবঞ্চনা করো না, তোমার পিতামাতাকে সমাদর কোরো”।
20. সেই বক্তি তাঁকে বললো, হুজুর, বাল্যকাল থেকে এসব আমি পালন করে আসছি।
21. ঈসা তার প্রতি দৃষ্টিপাত করে মহব্বতে পূর্ণ হয়ে তাকে বললেন, একটি বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে, যাও, তোমার যা কিছু আছে বিক্রি করে দরিদ্রদেরকে দান কর, তাতে বেহেশতে ধন পাবে; আর এসো, আমার অনুসারী হও।
22. এই কথায় সে বিষণ্ন হল, দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার বিস্তর সম্পত্তি ছিল।
23. তখন ঈসা চারদিকে দৃষ্টিপাত করে তাঁর সাহাবীদেরকে বললেন, যাদের ধন আছে, তাদের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে প্রবেশ করা কেমন দুষ্কর!
24. তাঁর কথায় সাহাবীরা আশ্চর্য হলেন; কিন্তু ঈসা পুনর্বার তাঁদেরকে বললেন, বৎসরা, যারা ধনের উপর নির্ভর করে, আল্লাহ্র রাজ্যে প্রবেশ করা তাদের পক্ষে কেমন দুষ্কর!
25. আল্লাহ্র রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।
26. তখন তাঁরা অতিশয় আশ্চর্য হয়ে বললেন, তবে কে নাজাত পেতে পারে?
27. ঈসা তাঁদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন, এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব বটে, কিন্তু আল্লাহ্র পক্ষে অসম্ভব নয়, কারণ আল্লাহ্র পক্ষে সকলই সম্ভব।
28. তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, দেখুন, আমরা সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।
29. ঈসা বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, এমন কেউ নেই, যে আমার জন্য ও সুসমাচারের জন্য তার বাড়ি বা ভাই-বোন বা পিতা-মাতা বা সন্তান-সন্ততি বা জায়গা-জমি ত্যাগ করেছে, কিন্তু এখন ইহকালে তার শতগুণ না পাবে;