13. আর কয়েক জন পর্যটনকারী ইহুদী ওঝাও দুষ্ট রূহ্বিষ্ট লোকদের কাছে প্রভু ঈসার নাম ব্যবহার করে তাদের ছাড়াতে চেষ্টা করতো। তারা বলতো, পৌল যাঁর বিষয়ে তবলিগ করেন, সেই ঈসার কসম দিয়ে তোমাদেরকে বলছি।
14. আর স্কিবা নামে এক জন ইহুদী প্রধান ইমামের সাতটি পুত্র ছিল, তারা এই রকম করতো।
15. তাতে মন্দ রূহ্ জবাবে তাদেরকে বললো, ঈসাকে আমি জানি, পৌলকেও চিনি, কিন্তু তোমরা কে?
16. তখন যে ব্যক্তি মন্দ রূহ্বিষ্ট, সে তাদের উপরে লাফ দিয়ে পড়লো, তাদের সকলকে পরাজিত করে তাদের উপরে এমন বল প্রকাশ করলো যে, তারা উলঙ্গ ও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল।
17. আর এই কথা ইফিষ-নিবাসী ইহুদী ও গ্রীক সকলেই জানতে পেল, তাতে সকলে খুব ভয় পেল এবং প্রভু ঈসার নাম প্রশংসিত হতে লাগল।
18. আর যারা ঈমান এনেছিল, তাদের অনেকে এসে নিজ নিজ কাজ স্বীকার ও প্রকাশ করতে লাগল।
19. আর যারা জাদুর খেলা দেখাত, তাদের মধ্যে অনেকে নিজ নিজ বই এনে একত্র করে সকলের সাক্ষাতে পুড়িয়ে ফেলল। সেসব কিতাবের মূল্য গণনা করলে দেখা গেল, পঞ্চাশ হাজার রূপার মুদ্রা।
20. এভাবে সপরাক্রমে প্রভুর কালাম বৃদ্ধি পেতে ও প্রবল হতে লাগল।
21. এসব কাজ সম্পন্ন হলে পর পৌল রূহে সঙ্কল্প করলেন যে, তিনি ম্যাসিডোনিয়া ও আখায়া যাবার পর জেরুশালেমে যাবেন, তিনি বললেন, সেখানে যাবার পর আমাকে রোম নগরও দেখতে হবে।
22. আর তীমথি ও ইরাস্ত নামে যে দু’জন তাঁর পরিচর্যা করতেন, তাঁদের তিনি ম্যাসিডোনিয়াতে প্রেরণ করলেন এবং তিনি নিজে কিছুকাল এশিয়া প্রদেশে রইলেন।
23. আর সেই সময়ে এই পথের বিষয় ভীষণ হুলস্থূল পড়ে গেল।
24. কারণ দীমীত্রিয় নামে এক জন স্বর্ণকার দেবী আর্তেমিসের রূপার মন্দির নির্মাণ করতো এবং কারিগরদেরকে যথেষ্ট কাজের যোগান দিত।
25. সেই ব্যক্তি তাদেরকে এবং সেই ব্যবসার কারিগরদেরকে ডেকে বললো, মহোদয়গণ, আপনারা জানেন, এই কাজের দ্বারা আমাদের বেশ অর্থ উপার্জন হয়।
26. আর আপনারা দেখছেন ও শুনছেন, কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল বিস্তর লোককে প্রবৃত্তি দিয়ে ফিরিয়েছে, এই কথা বলেছে যে, হাতের তৈরি দেবমূর্তি আসলে কোন দেবতাই নয়।
27. এতে এই আশঙ্কা হচ্ছে, কেবল আমাদের এই ব্যবসার দুর্নাম হবে, তা নয়; কিন্তু মহাদেবী আর্তেমিসের মন্দির নগণ্য হয়ে পড়বে, আবার যাঁকে সমস্ত এশিয়া, এমন কি, জগৎ সংসার পূজা করে, তিনিও মহিমাচ্যুত হবেন।