2-3. এমন সময় তিনি চোখ তুলে দেখলেন, তাঁর সামনে কিছুটা দূরে তিনজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের দেখামাত্র তিনি তাম্বুর দরজার কাছ থেকে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁদের সালাম জানিয়ে বললেন, “দেখুন, যদি অসুবিধা না হয় তবে দয়া করে আপনার এই গোলামকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন না।
14. মাবুদের কাছে অসম্ভব বলে কি কিছু আছে? সামনের বছর ঠিক এই সময়ে আমি আবার তোমার কাছে ফিরে আসব আর তখন সারার কোলে একটি ছেলে থাকবে।”
15. সারা তখন ভয় পেয়ে হাসবার কথা অস্বীকার করে বললেন, “না, আমি তো হাসি নি।”কিন্তু মাবুদ বললেন, “তা সত্যি নয়; তুমি হেসেছ বৈকি!”
16. এর পরে সেই তিনজন সেখান থেকে উঠলেন এবং নীচে সাদুমের দিকে চেয়ে দেখলেন। ইব্রাহিম তাঁদের এগিয়ে দেবার জন্য তাঁদের সংগে কিছু দূর গেলেন।
17. পরে মাবুদ বললেন, “আমি যা করতে যাচ্ছি তা কি ইব্রাহিমের কাছ থেকে লুকাব?
18. ইব্রাহিম আর তার বংশের লোকদের মধ্য থেকেই তো একটা মহান শক্তিশালী জাতির সৃষ্টি হবে এবং তারই মধ্য দিয়ে দুনিয়ার সমস্ত জাতি দোয়া পাবে।
19. আমি মাবুদ এই উদ্দেশ্যেই তাকে বেছে নিয়েছি যেন সে তার সন্তান আর বাড়ীর অন্য সবাইকে সৎ এবং ন্যায় কাজ করে আমার ইচ্ছা মেনে চলবার উপদেশ দেয়। যদি তারা ইব্রাহিমের কথা শুনে সেইভাবে চলে, তবে আমি মাবুদ ইব্রাহিম সম্বন্ধে যা বলেছি তা সবই করব।”
20. তারপর মাবুদ বললেন, “সাদুম ও আমুরার বিরুদ্ধে ভীষণ হৈ চৈ চলছে, আর তাদের গুনাহ্ও জঘন্য রকমের।
21. সেইজন্য আমি এখন নীচে গিয়ে দেখতে চাই যে, তারা যা করেছে বলে আমি শুনছি তা সত্যিই অতটা খারাপ কি না। আর যদি তা না হয় তাও আমি জানতে পারব।”