1. বাদশাহ্ আর্টা-জারেক্সেসের রাজত্বের বিশ বছরের নীষন মাসের একদিন খাবার সময় বাদশাহ্র সামনে আংগুর-রস ছিল, আর আমি তা নিয়ে বাদশাহ্কে দিলাম। এর আগে আমি বাদশাহ্র সামনে কখনও মলিন মুখে থাকি নি।
2. সেইজন্য বাদশাহ্ আমাকে বললেন, “তোমার তো অসুখ হয় নি, তবে তোমার মুখ এত মলিন দেখাচ্ছে কেন? এ তো দিলের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।”এই কথা শুনে আমি খুব ভয় পেলাম,
3. তবুও বাদশাহ্কে বললাম, “মহারাজ চিরজীবী হোন। আমার পূর্বপুরুষেরা যে শহরে কবর পেয়েছেন সেই শহর যখন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তার দরজাগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে তখন আমার মুখ কেন মলিন দেখাবে না?”
4. বাদশাহ্ আমাকে বললেন,“তুমি কি চাও?”তখন আমি বেহেশতের আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করলাম।
5. তারপর জবাবে বাদশাহ্কে বললাম, “মহারাজ যদি খুশী হয়ে থাকেন এবং আপনার গোলাম যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে তবে আমার পূর্বপুরুষদের কবর যেখানে আছে এহুদার সেই শহরে আপনি আমাকে যাবার অনুমতি দিন যাতে আমি তা আবার তৈরী করতে পারি।”
6. বাদশাহ্র পাশে রাণীও বসে ছিলেন। বাদশাহ্ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে, আর কবেই বা তুমি ফিরে আসবে?” আমি একটা সময়ের কথা বললে পর বাদশাহ্ সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে যাবার অনুমতি দিলেন।
7. আমি বাদশাহ্কে আরও বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়ে থাকেন তবে ফোরাত নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে তিনি যেন চিঠি দেন যাতে তাঁরা আমাকে তাঁদের দেশের মধ্য দিয়ে এহুদায় যেতে দেন।
11-12. আমি জেরুজালেমে গিয়ে সেখানে তিন দিন থাকবার পর রাতে কয়েকজন লোক সংগে নিয়ে বের হলাম। জেরুজালেমের জন্য যা করতে আল্লাহ্ আমার মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন তা আমি কাউকে বলি নি। আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম সেটা ছাড়া আর কোন পশুই আমার সংগে ছিল না।