2-3. এই কথা বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের কানে গেল। আল্লাহ্র যে বান্দারা জমায়েত হয়েছিল সেই দলের মধ্যে ছিল ইসরাইলীয় গোষ্ঠী-নেতারা সবাই এবং চার লক্ষ পদাতিক সৈন্য। তারা জানতে চাইল যে, সেই জঘন্য ব্যাপারটা কি করে ঘটেছিল।
4. তখন লেবি-গোষ্ঠীর ঐ লোকটি, অর্থাৎ মেরে ফেলা স্ত্রীলোকটির স্বামী বলল, “আমি ও আমার উপস্ত্রী রাত কাটাবার জন্য বিন্ইয়ামীন এলাকার গিবিয়াতে গিয়েছিলাম।
5. রাতের বেলায় গিবিয়ার লোকেরা আমার খোঁজে এসে বাড়ীটা ঘেরাও করল। তারা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু তার বদলে তারা আমার উপস্ত্রীকে নিয়ে জোর করে তার সংগে জেনা করল, আর তাতে সে মারা গেল।
6. ইসরাইলের মধ্যে তারা এমন লমপটতা এবং খারাপ কাজ করেছে বলে আমি আমার উপস্ত্রীকে কেটে টুকরা টুকরা করে বনি-ইসরাইলদের ভাগে পড়া প্রত্যেকটি জায়গায় একটা করে টুকরা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
22-23. তখন বনি-ইসরাইলরা গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাবুদের কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে বলল, “আমরা কি আমাদের ভাই বিন্ইয়ামীনীয়দের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে যাব?”জবাবে মাবুদ বললেন, “যাও।” এতে ইসরাইলীয় সৈন্যেরা সাহসে বুক বেঁধে প্রথম দিন যে জায়গায় যুদ্ধ করেছিল আবার সেখানে যুদ্ধ করবার জন্য প্রস্তুত হল।
27-28. সেই সময়ে আল্লাহ্র সাক্ষ্য-সিন্দুক বেথেলেই ছিল, আর হারুনের নাতি, অর্থাৎ ইলিয়াসরের ছেলে পীনহস তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ইমামের কাজ করতেন। সেইজন্য বনি-ইসরাইলরা সেখানে মাবুদের ইচ্ছা জানবার জন্য জিজ্ঞাসা করল, “আমরা আমাদের ভাই বিন্যামীন-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে যাব কি যাব না?”মাবুদ জবাব দিলেন, “যাও, কারণ কালকে আমি তোমাদের হাতে তাদের তুলে দিতে যাচ্ছি।”
38-39. সেই লুকিয়ে থাকা সৈন্যদের সংগে অন্যান্য ইসরাইলীয় সৈন্যেরা এই চিহ্ন ঠিক করেছিল যে, তারা শহর থেকে মেঘের মত করে ধোঁয়া উপরের দিকে উঠতে দেখলে যুদ্ধের জন্য ঘুরে দাঁড়াবে।যখন বিন্ইয়ামীনীয়রা বনি-ইসরাইলদের ত্রিশজনকে হত্যা করেছিল তখন তারা বলেছিল, “আমরা প্রথম বারের যুদ্ধে যেমন তাদের হারিয়ে দিয়েছিলাম এবারও তা-ই করছি।”